| নাম | বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (National Museum) |
| নোটিশ বোর্ড | জাতীয় জাদুঘর নোটিশ বোর্ড |
| অবস্থান | জাতীয় জাদুঘর কোথায় অবস্থিত |
| বন্ধের দিন | জাতীয় জাদুঘর কবে বন্ধ থাকে |
| সময়সূচী | জাতীয় জাদুঘর সময়সূচী ২০২৩ |
| টিকিট মূল্য | জাতীয় জাদুঘর টিকিট মূল্য |
জাতীয় জাদুঘর
জাতীয় জাদুঘর (National Museum) একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান যা দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য কাজ করে। ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই৯ জাদুঘরটিতে প্রাগৈতিহাসিক, প্রোটোহিস্টোরিক এবং ইসলামিক সময়কাল সহ বিভিন্ন সময়কাল এবং সভ্যতার প্রায় ৮৬০০০ টিরও বেশি বস্তুর একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে।
জাদুঘরটি চারটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত। যথা - প্রত্নতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, প্রাকৃতিক ইতিহাস এবং সমসাময়িক শিল্প ও বিশ্ব সভ্যতা। হাজার হাজার বছর আগের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির মাধ্যমে জাদুঘরটি বাংলাদেশের জনগণ এবং সারা বিশ্বের দর্শকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (Bangladesh National Museum) দেশের সর্ব বৃহৎ জাদুঘর। যেটি রাজধানী ঢাকার বুকে উচু হয়ে দাড়িয়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের সাথেই গড়ে উঠা এই জাদুঘরটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। এখানে অবস্থিত গ্যালারিতে লোকশিল্প, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, অস্ত্র, মুদ্রা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যশৈলী তুলে ধরার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।এছাড়াও এখানে গবেষণা এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দর্শনার্থী এবং গবেষকদের মধ্যে একইভাবে সাংস্কৃতিক সচেতনতা এবং বোঝাপড়ার প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯১৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি রুমে জাদুঘর হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া এই জাদুঘরটি তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল প্রতিষ্ঠা করেন। যেটি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সালে নতুন আঙ্গিকে দেশের অন্যতম এবং জাতীয় জাদুঘর এর স্বীকৃতি লাভ করে। চার তালা ভবন বিশিষ্ট এই জাদুঘরে রয়েছেঃ
- ৪৫টি গ্যালারি
- মূল গেইটে মুজিব ভাস্কর্য
- মুজিব মঞ্চ/ সিনেপ্লেক্স
- হারিয়ে যাওয়া রাজ্য পালকি/পালং/ মাটির গোলা সহ
- প্রায় ৮৩ হাজারের ও বেশি নিদর্শন।
জাতীয় জাদুঘর খোলার সময়সূচী ২০২২
অনেকেই জানতে চান যে, জাতীয় জাদুঘর খোলার সময়সূচী ২০২৩ ? উত্তরঃ শাহবাগ এ অবস্থিত বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন সময়সূচী তে পার্থক্য রয়েছে।
জাতীয় জাদুঘর খোলার সময়সূচী
- গ্রীষ্মকালীন সময়ে (April - September) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর সকাল ১০ঃ৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৫ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনবৃহস্পতিবার।
- শীতকালীন সময়ে (October -March) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর সময়সূচী অনুসারে বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯ঃ৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। এই সময়সুচি অনুসারেও বন্ধের দিন বৃহস্পতিবার।
| শনিবার | সকাল ১০ঃ৩০ মিনিট - বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট |
| রবিবার | সকাল ১০ঃ৩০ মিনিট - বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট |
| সোমবার | সকাল ১০ঃ৩০ মিনিট - বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট |
| মঙ্গলবার | সকাল ১০ঃ৩০ মিনিট - বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট |
| বুধবার | সকাল ১০ঃ৩০ মিনিট - বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট |
| বৃহস্পতিবার | সাপ্তাহিক বন্ধের দিন |
| শুক্রবার | সকাল ১০ঃ৩০ মিনিট - বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট |
জাতীয় জাদুঘর টিকেট টিকেট মূল্য
অনেকেই জানেন না এখানে প্রবেশ মূল্য কত সেই সম্পর্কে। তাই প্রশ্ন করেন যে, জাতীয় জাদুঘর টিকেট মূল্য কত ২০২৩ ? উত্তরঃ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর টিকেট মূল্য বা প্রবেশ মূল্য আগে ২০ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা পরিবর্তন করে ৪০ টাকা করা হয়েছে। তাই বলা যায় জাদুঘরটির টিকিট মূল্য ৪০ টাকা।
জাতীয় জাদুঘর টিকেট
- বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর টিকেট মূল্য ২০২৩ সাল থেকে সকল বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য ৪০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। সেই সাথে তিন (৩) থেকে বার (১২) বছরের সকল শিশুদের জন্য ২০টাকা। সার্কভুক্ত দেশের দর্শনার্থীদের জন্য ৩০০ টাকা এবং অন্যান্য দেশের দর্শনার্থীদের জন্য ৫০০ টাকা।
জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট
জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকেট ৪০ টাকা। প্রথমে bangladeshmuseumtiket.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে Buy Ticket অপশনে আপনার যাবতীয় তথ্য দিয়ে রেজেস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। তারপর লগইন করে Purchase eTicket অপশনে ক্লিক করুন। জাদুঘরে ভ্রমণের তারিখ, টিকেট সংখ্যা লিখে Add বাটনে ক্লিক করুন। Make Payment বাটনে ক্লিক করে বিকাশ/ নগদ। রকেট দিয়ে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন করুন। সর্বশেষে Print Ticket অপশনে ক্লিক করে আপনার টিকিট ডাউনলোড করে রাখতে হবে।
জাদুঘর এর অনলাইন টিকেট এর জন্য ক্লিক করুন
www.nationalmuseumticket.gov.bd
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কোথায়
শাহবাগ জাদুঘর কিভাবে যাবো
| মিরপুর | বিহঙ্গ, দিশারী, ট্রান্সসিল্ভা, শিকড়, হিমাচল, বাহন, নিউ ভিশন ইত্যাদি |
| গাবতলি/ সাভার | গাবতলি ৮নং,বঙ্গবন্ধু ও এয়ারপোর্ট ট্রান্সপোর্ট সহ মিরপুর এর সকল বাস |
| গুলিস্তান/পল্টন | শাহবাগ অভিমুখী সকল বাস যেমন, বিহঙ্গ, শিকড়, হিমাচল, দিশারী। |
| রামপুরা/বাড্ডা | রমজান, তরঙ্গ প্লাস ইত্যাদি |
| মৌচাক/মালিবাগ | রমজান, তরঙ্গ প্লাস |
| নারায়নগঞ্জ | মেঘলা পরিবহন এবং হিমাচল |
| গাজীপুর/ এয়ারপোর্ট | বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট এ সরাসরি, বলাকা পরিবহনে কাকরাইল নেমে রিক্সা অথবা রমজান বাস |
| ধানমন্ডি | মিডল্যান্ড, দিশারী, মেঘলা,ট্রান্সসিল্ভা, বাহন |
জাতীয় জাদুঘর কবে বন্ধ থাকে ২০২৩
- জাতীয় জাদুঘর সপ্তাহের সকল দিন খোলা থাকে না। এটি প্রতি বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ঃ৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। সরকারি ছুটির দিনও বন্ধ থাকে না।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে যা বিশ শতকের গোড়ার দিকে যখন এটি ঢাকা পাবলিক লাইব্রেরির একটি বিভাগ হিসাবে শুরু হয়েছিল। ১৯১৩ সালে এই বিভাগটি একটি পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে সম্প্রসারিত হয়। যেখানে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন শিল্প ও নিদর্শন প্রদর্শন করা হয়।
তারপর থেকে জাদুঘরটির বেশ কয়েকবার সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছ। তবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি বরাবরের মতোই দৃঢ় রয়েছে। এর সংগ্রহে ১ লক্ষ টিরও বেশি বস্তু সহ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরটি দেশের সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের একটি প্রমাণ এবং ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে আগ্রহী যে কারও জন্য অবশ্যই দর্শনীয় আকর্ষণ।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর কোথায় অবস্থিত ?
উত্তরঃ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর রাজধানী ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত।
প্রশ্নঃ জাতীয় জাদুঘর কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তরঃ এটি ১৯১৩ সালের ২০ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের ১৭ই নভেম্বর এটিকে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর হিসাবে ঘোষণা করা হয়।