১৮৮২ সালে নীলফামারী মহকুমা হিসাবে বর্তমান নীলফামারী জেলার যাত্রা শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৯৪ সালে নীলফামারীকে জেলার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মোট ছয়টি(০৬) উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলায় ৪৫টি কলেজ, ১টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ১টি প্রাইমারি শিক্ষক ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, ১টি সেনানিবাস এবং একটি বিমানবন্দর রয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নীলফামারী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
নীলফামারী জেলায় অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির বসবাস যারা এই জেলার নাম উজ্জ্বল করে তুলেছেন। বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম আসাদুজ্জামান নূর, খয়রাত হোসেন, আবু নাসের মোহাম্মদ আলী,শামসুল হক, শফিউর রহমান, সমেলা রহমান, কাজী মাহবুবুর রহমান দুলু, ডঃ জিকরুল হক, বিচারপতি মোস্তফা কামাল ও কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন।
নীলফামারী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
- রতেন্দ্রনাথ রায়
- দবির উদ্দিন আহমেদ
- আবু নাসের মোহাম্মদ আলী
- শামসুল হক
- সমেলা রহমান
- আসাদুজ্জামান নূর
- খয়রাত হোসেন
- করলাল রায়
- মহেশ চন্দ্র রায়
- কাজী মাহবুবুর রহমান দুলু
- বিচারপতি মোস্তফা কামাল এবং
- কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনিন ইত্যাদি।
নীলফামারী জেলা সম্পর্কে তথ্য
নীলফামারী জেলার আয়তন ১৬৪৩. ৪০ বর্গ কিলোমিটার। নীলফামারী জেলা ঢাকা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ জেলার পূর্বে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলা, উত্তরে ভারত(শিলিগুড়ি) এবং দক্ষিনে দিনাজপুর ও রংপুর জেলা অবস্থিত। হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি অবস্থিত এই জেলাটি তিস্তা, বামনডাঙ্গা, ও বুড়িক্ষুরা নদীকে কেন্দ্র করে এর সভ্যতা গড়ে তুলেছে। এ জেলার সকল তথ্য www.nilfamari.gov.bd এই ওয়েবসাইট এ সংরক্ষিত আছে।
নীলফামারী জেলার থানার নাম
নীলফামারী জেলায় ছয়তি(০৬) উপজেলা বা থানা নিয়ে গঠিত। থানা সমূহ হলঃনীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা এবং কিশোরগঞ্জ। এ জেলায় ৪টি পৌরসভা রয়েছে। পৌরসভা সমুহঃ নীলফামারী সদর, ডিমলা, সৈয়দপুর ও জলঢাকা।
নীলফামারী সদর | nilphamarisadar.nilphamari.gov.bd/ |
সৈয়দপুর | syedpur.nilphamari.gov.bd/ |
ডোমার | domar.nilphamari.gov.bd/ |
ডিমলা | dimla.nilphamari.gov.bd/ |
জলঢাকা | jaldhaka.nilphamari.gov.bd/ |
কিশোরগঞ্জ | kishorganj.nilphamari.gov.bd/ |
নীলফামারী কিসের জন্য বিখ্যাত
নীলফামারী জেলা তার অপরূপ প্রাকিতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এ জেলা চিনি মসজিদ, নিলসাগর, নাপা শাক, ডুমুরের সন্দেশ ও শিদল এর জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প( তিস্তা ক্যানেল) এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা এ জেলাকে বিখ্যাত করে তুলেছে।
নীলফামারী জেলার বিখ্যাত খাবারঃ
- নীলফামারী জেলার বিখ্যাত আঞ্চলিক খাবারের মধ্যে একটি শীদল। এছাড়াও রয়েছে নাপা শাকের ঝোল,আলুর ডাল,পেলকা ও ডুমুরের সন্দেশ।
সৈয়দপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
- পূর্বকাল থেকে সৈয়দপুর রেল এর শহর হিসাবে বিখ্যাত। ১২১.৬৮ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এ জেলা কুটিরশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ ও ঐতিহ্যবাহী চিনি মসজিদ এর জন্য বিখ্যাত।
- এছাড়াও সৈয়দপুর শিক্ষার শহর নামে পরিচিত। এই উপজেলায় উৎপাদিত আমন ও বোরো ধান, আলু, গম সৈয়দপুর উপজেলাকে নীলফামারী জেলার মডেল উপজেলায় পরিণত হয়েছে।
নীলফামারী জেলার বিখ্যাত স্থান
নীলফামারী জেলার বিখ্যাত স্থানঃ
- নীলসাগর পর্যটন কেন্দ্র
- হযরত মহিউদ্দিন চিশতি (র:)মাজার
- সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ
- নীলফামারী জাদুঘর
- ময়নামতি দুর্গ
- ধর্মপালের রাজবাড়ী
- নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়াম
- বধ্যভূমি ইত্যাদি।
নীলফামারী জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১।প্রশ্নঃ নীলফামারী জেলা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তরঃ নীলফামারী জেলা ১৮৮২ সালে মহকুমা হিসাবে যাত্রা শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৯৪ সালে নীলফামারীকে জেলার স্বীকৃতি দেওয়া হয় অর্থাৎ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২।প্রশ্নঃনীলফামারী জেলার বিখ্যাত খাবার কি?
উত্তরঃনীলফামারী জেলার বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে নাপা শাক, সন্দেশ, আলুর ডাল ও পেলকা অন্যতম।
৩। প্রশ্নঃনীলফামারী কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?
উত্তরঃ নীলফামারী জেলা তিস্তা, বামনডাঙ্গা, ও বুড়িক্ষুরা নদীর তীরে অবস্থিত।বিস্তারিত জানতে পোস্টটি পড়ুন।
৪। প্রশ্নঃ নীলফামারী জেলার পৌরসভা কয়টি ও কি কি ?
উত্তরঃ নীলফামারী জেলায় ৪ টি পৌরসভা ও ৬ টি উপজেলা রয়েছে। পৌরসভা সমূহ হলঃনীলফামারী সদর, ডিমলা, সৈয়দপুর ও জলঢাকা।