বাংলাদেশের মাওয়া ফেরি ঘাট মানুষ এবং পণ্য উভয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন রুট। এটি পদ্মা নদী পার হতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফেরি ঘাট হাব। ঘাটটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে, মুন্সিগঞ্জ জেলাকে বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করে। এছাড়াও ঘাটটি ঢাকা এবং দেশের বাকি অংশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ, যা অত্যন্ত দ্রুত হারে পণ্য ও উপকরণ পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।
মাওয়া ফেরিঘাট
মাওয়া ফেরি ঘাট বাংলাদেশের অন্যতম আইকনিক এবং ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। প্রায় ১৫০ বছর আগে নির্মিত এই মাওয়া ফেরিঘাট মেঘনা নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি অত্যাবশ্যক জীবনরেখা। প্রতিদিন, হাজার হাজার মানুষ এবং তাদের পণ্য ফেরি ঘাট দিয়ে মেঘনা পার হয়ে যাতায়াত করে। এটি স্থানীয় অর্থনীতির একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। এর অসাধারণ গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও, মাওয়া ফেরি ঘাটটি বন্যার হুমকির মুখে রয়েছে এবং এর মেরামত অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত, মাওয়া ফেরি ঘাট এলাকাটি একটি আইকনিক ল্যান্ডমার্ক এবং প্রতীক। এই অঞ্চলের পরিবহন পরিকাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাটটি মূল ভূখণ্ডের সাথে মাওয়া দ্বীপের সাথে সংযোগকারী ফেরি পরিষেবার অ্যাক্সেস প্রদান করে। এটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ মাওয়া বাস এবং ট্রেন সহ বিভিন্ন পরিবহন পরিষেবার প্রধান কেন্দ্র। উপরন্তু, ঘাটটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য, যা দর্শনার্থীদের আইকনিক পদ্মা নদীর আকর্ষণীয় দৃশ্য প্রদান করে।
ঢাকা মাওয়া ফেরিঘাট
বাংলাদেশে অবস্থিত মাওয়া ফেরি ঘাট স্থানীয় এবং পর্যটকদের কাছে একইভাবে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এবং বিখ্যাত সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনে প্রবেশাধিকার হিসাবেও কাজ করে। ঘাটটি তার মনোরম সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত সহ নদীর আইকনিক দৃশ্যের জন্যও পরিচিত। অতিরিক্তভাবে, এলাকাটিতে বেশ কয়েকটি স্থানীয় রেস্তোরাঁ এবং দোকান রয়েছে, যা এটিকে রাতের খাবার বা কেনাকাটার জন্য একটি আদর্শ জায়গা করে তুলেছে।
মাওয়া ফেরি ঘাট বাংলাদেশের দক্ষিণ-মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত। এটি আঞ্চলিক রাজধানী ঢাকার কাছাকাছি, এই এলাকায় সহজে প্রবেশের করা যায়। উপরন্তু, ঘাটটি সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট থেকে খুব বেশি দূরে নয়, যারা এই অঞ্চলটি অন্বেষণ করতে চায় তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত গন্তব্য। এটি ফেরি, বাস এবং ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য, এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আদর্শ অবস্থান তৈরি করেছে।
মাওয়া ফেরিঘাট আজকের খবর
- ঘন কুয়াশায় মাঝপদ্মায় সারা রাত আটকে ছিল ছয়টি ফেরি(০৮ জানুয়ারি,২০২৩)
- কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রায় চার ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।(০৭ জানুয়ারি,২০২৩)
- কুয়াশার কারণে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল(০৬ জানুয়ারি,২০২৩)
- ঘন কুয়াশার কারণে কয়েকদিন ধরে পদ্মায় ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে।তাই মাওয়া ফেরিঘাট আজকের খবর জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
মাওয়া ফেরিঘাট কোথায় অবস্থিত
মাওয়া ফেরিঘাট মুন্সিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।মাওয়া ফেরি ঘাটটি রাজধানী ঢাকার ঠিক উত্তরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত। পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত, ঘাটটি মাওয়া দ্বীপে প্রবেশাধিকার প্রদান করে, একটি উল্লেখযোগ্য পরিবহন কেন্দ্র যেখানে বাস, ফেরি এবং ট্রেন পরিষেবা রয়েছে। সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের সান্নিধ্য এটিকে একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য করে তোলে এবং আইকনিক নদীর অত্যাশ্চর্য দৃশ্য প্রদান করে। মনোরম সূর্যাস্ত থেকে সুস্বাদু স্থানীয় রন্ধনপ্রণালী, মাওয়া ফেরি ঘাট ভ্রমণকারীদের জন্য একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
মাওয়া ফেরিঘাট কোন জেলায় অবস্থিত?
- মাওয়া ফেরিঘাট বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় একটি জেলা মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত।
মাওয়া ফেরিঘাট বর্তমান অবস্থা
মাওয়া ফেরিঘাট বর্তমান অবস্থা অনেক ভালো। শীতের সময় মাঝে মাঝে ফেরি চলাচল বিলম্ব হয়ে থাকে কোয়াসার কারনে।আগে নানা শিডিউল বিপর্যয় ঘটলেও ইদানিং সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহন করার কারনে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
মাওয়া ফেরি চলাচলের সময়
- বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায় যে, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করবে।যদিও কিছুদিন আগে এই সময় ছিল ৬টা থেকে ৪.৩০টা।
- শীতের সকালে পরিবেশ কুয়াসাচ্ছন্ন থাকায় আমাদের বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মা সেতু রক্ষায় মাওয়া ফেরি চলাচলের সময় ভোর ৬ টা থেকে সকাল ৮ টা করা হয়েছে।বর্তমানে কদম, বেগম সুফিয়া কামাল, কুঞ্জলতা ও বেগম রোকেয়া নামের চারটি কেটাইপ ফেরি চলাচল করছে।
মাওয়া ফেরিঘাট ইলিশ
মাওয়া ফেরিঘাট ইলিশ খাওয়ার একটি আদর্শ জায়গা। অনেক দূর দুরান্ত থেকে অনেক পর্যটক এই মাওয়া ফেরিঘাট ইলিশ এর স্বাদ নোট আসেন।এখানকার প্রায় সব গুলো হোটেল রেস্তোরায় অতি সল্প দামে ইলিশ ভাঁজি ভোজন করা যায় ৯০-১২০ টাকায়(May differ shop by shop) মাত্র।এখানকার ইলিশ এর বাজারগুলোতে ইলিশ ছাড়াও নানান প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।তাই বলা যায় আপনারা যারা মাওয়া ফেরিঘাটের ইলিশ খেতে চান তাঁদের জন্য এটি একটি আদর্শ গন্তব্যস্থল।
মাওয়া ফেরিঘাট নাম্বার
আরিচা/পাটুরিয়া ফেরিঘাট নাম্বারঃ01404-443-722 এবং মাওয়া ফেরিঘাট নাম্বার টি হল ০১৭১২১৯০৪৯৪।
মাওয়া ফেরিঘাট(শিমুলিয়া) | 01712-190494 |
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট | 01404-443723 |
হরিনা ফেরিঘাট | 01404-443728 |
ইলিশা | 01404-443731 |
শরিয়তপুর | 01404-443729 |
লাহারহাট | 01404-443732 |
কাজিহাট | 01404-443747 |