চট্টগ্রাম কিসের জন্য বিখ্যাত | চট্টগ্রামের বিখ্যাত ব্যক্তির নাম

চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি দেশের তৃতীয় জনবহুল শহর। এই জেলাটি তার ঐতিহাসিক স্থান, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের উপকূলে অবস্থিত একটি সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ জেলা। এই জেলাটি বেশিরভাগ বাংলাদেশীর জন্য সাপ্তাহিক ছুটির একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে কারণ এটি কেনাকাটা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ এবং ঐতিহ্যবাহী নাচের মতো অনেক কার্যক্রমে মুখরিত থাকে। জেলার প্রধান আকর্ষণ হল এর অনন্য সংস্কৃতি।যার মধ্যে প্রাণবন্ত খাবার, অনুষ্ঠান এবং আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে। উপকূল বরাবর, স্থানীয় এবং পর্যটকরা একইভাবে স্ফটিক স্বচ্ছ জল এবং সবুজ গাছপালা সহ সুন্দর সৈকত খুঁজে পেতে পারেন।

চট্টগ্রাম জেলা

চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি দেশের তৃতীয় জনবহুল শহর। এই জেলাটি তার ঐতিহাসিক স্থান, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসাবে পরিচিত।চট্টগ্রাম জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা। এ জেলার পশ্চিমে ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং কুমিল্লা দ্বারা সীমাবদ্ধ; উত্তরে নোয়াখালী ও ফেনী; এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। এই জেলাটি চাকমা, মারমা, খুমি এবং তাউং এর মত বিভিন্ন উপজাতির বাসস্থান। ছোটো-গ্রামের অর্থনীতি মূলত কৃষি, মৎস্য ও বনায়নের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

চট্টগ্রাম জেলা নিয়ে বিস্তারিত
চট্টগ্রাম জেলা
চট্টগ্রাম কিসের জন্য বিখ্যাত
চট্টগ্রামের বিখ্যাত ব্যক্তির নাম
চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান
চট্টগ্রামের মানচিত্র
চট্টগ্রাম কিসের জন্য বিখ্যাত খাবার

চট্টগ্রাম কিসের জন্য বিখ্যাত

  • চট্টগ্রাম জেলা তার অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। চট্টগ্রাম জেলা মুলত ঐতিহাসিক বেলা বিস্কুট, মেজবান, শুটকি মাছ, হালদা নদী, মোহনা এবং জব্বারের বলি খেলার জন্য বিখ্যাত।এছাড়াও চট্টগ্রাম চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং পুরাতন জাহাজ ভাঙ্গা এলাকার জন্য বিখ্যাত।

পৃথিবীর বৃহত্তম পুরাতন জাহাজ ভাঙ্গা এলাকা যেটি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত।যেখানে প্রতি বছর ২০,০০০ টিরও বেশি জাহাজ তৈরি করা হয়।চট্টগ্রাম জেলা তার বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলির জন্য সর্বাধিক পরিচিত, যেমন চৈতন্য দেব মন্দির, চট্টগ্রাম দুর্গ এবং মহাস্থানগড়। এই সাইটগুলি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাসের একটি আভাস দেয় এবং স্থানীয় জনগণের জন্য গর্ব ও পরিচয়ের উৎস হিসাবে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে।চট্টগ্রাম জেলা তার সুন্দর সমুদ্র সৈকত, লঘু বন এবং রাজকীয় পাহাড়ের জন্যও বিখ্যাত, যা চট্টগ্রাম জেলাকে একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে।

চট্টগ্রামের বিখ্যাত ব্যক্তির নাম
চট্টগ্রাম কিসের জন্য বিখ্যাত | চট্টগ্রামের বিখ্যাত ব্যক্তির নাম

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে অসহযোগ আন্দোলন, ১৯৪৭ এর দেশ ভাগ, ১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনী যুক্তফ্রন্ট এর ব্যাপক সাফল্য, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, লালদিঘী ময়দান থেকে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ঘোষণা, ৬০ এর দশক জুড়ে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ বাঙালি জাতির প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনের সাথে চট্টগ্রাম এর নাম জরিয়ে আছে।

চট্টগ্রাম জেলার আয়তন কত

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলা একটি জনবহুল এবং অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় অঞ্চল। চট্টগ্রাম জেলার আয়তন ২৭৪৭ বর্গ মাইল। এ জেলাটি ছয়(৬) মিলিয়নেরও বেশি লোকের সাথে, বিভিন্ন ধরণের সংস্কৃতি এবং ভাষার আবাসস্থল হিসাবে ধারন করে আছে । উপরন্তু, চট্টগ্রাম ঐতিহ্যগত এবং আধুনিক উভয় শিল্পের একটি বিস্তৃত অর্থনৈতিক ভিত্তি নিয়ে গঠিত। জেলাটিতে জাহাজ নির্মাণ, টেক্সটাইল উত্পাদন, কাগজ তৈরি এবং চামড়ার ট্যানিংয়ের মতো অসংখ্য শিল্প রয়েছে। এছাড়াও মাছ ধরা, পোশাক এবং প্রকৌশল ব্যবসা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান


চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান সমূহ
জাতিতাত্তিক জাদুঘর চট্টগ্রামের জাতিতাত্তিক জাদুঘর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত একটি সুন্দর ও তত্থবহুল জাদুঘর।প্রতিদিন নানা মানুষ এই জাদুঘরের সুন্দরতম প্রদরশনি দেখার জন্য ভিড় জমান।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর পৃথিবীর ২য় ব্যাস্ততম সমুদ্র বন্দর এটি যা কিনা এই চট্টগ্রাম এই অবস্থিত।
মোহনা এই এলাকায় কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরের পানির পার্থক্য ধরতে পারা যায়। প্রতিদিন নানা পেশার মানুষের ঢল দেখা যায় এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
হালদা নদী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজন্ম ক্ষেত্র। এটি পৃথিবীর একমাত্র জোয়ার ভাটা নদী যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম আহরিত করা হয়।
ইকো পার্ক চট্টগ্রামে রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র পাখি শালা যেটি শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক নামে পরিচিত।এছাড়াও এখানে রয়েছে কেব্‌ল কার সিস্টেম রাইডস যেটার মাধ্যমে পুরো এলাকাটি সহজেই দেখা যায়।
এছাড়াও চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান সমূহ হলঃ
  • কর্ণফুলী টানেল
  • চন্দ্রনাথ পাহাড়
  • পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
  • ওয়ার সিমেট্রি প্রভৃতি।

চট্টগ্রামের মানচিত্র

চট্টগ্রামের মানচিত্র
চিত্রঃচট্টগ্রামের মানচিত্র

চট্টগ্রামের বিখ্যাত ব্যক্তির নাম

চট্টগ্রাম জেলাটি বেশ কয়েকজন বিখ্যাত বাঙালি কবি, লেখক এবং সঙ্গীতজ্ঞদের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত।অধিকন্তু, জেলাটি মাঘ পূর্ণিমা এবং পহেলা ফাল্গুন সহ ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলির জন্যও পরিচিত। এটি তার স্বতন্ত্র রন্ধনপ্রণালীর জন্যও সুপরিচিত, যা বাঙালি এবং উপজাতীয় খাবারের সংমিশ্রণ।

চট্টগ্রামের বিখ্যাত ব্যক্তি বর্গ

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ
  • আব্দুল করিম
  • আহমেদ হোসেন
  • সাহিত্যিক আবুল ফজল
  • বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের
  • বীর বিক্রম আবুল হক
  • বীর প্রতিক তাজুল ইসলাম
  • ভাষা সৈনিক আবুল কাশেম
  • বীর প্রতিক নুরুল হক
  • বীর প্রতিক দিদারুল ইসলাম
  • সূর্য সেন এবং
  • বীর প্রতিক সিরাজুল হক ও মুজাম্মেল হক ইত্যাদি নাম উল্লেখযোগ্য।

চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা সমূহ

বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১৫ টি উপজেলা রয়েছে।উপজেলা সমূহ হলঃ
  1. আনোয়ারা
  2. বাশখালি
  3. বোয়ালখালি
  4. ফটিকছড়ি
  5. চন্দনাইশ
  6. হাটহাজারী
  7. মিরসরাই
  8. পটিয়া
  9. লোহাগড়া
  10. রাঙ্গুনিয়া
  11. সন্দ্বীপ
  12. সাতকানিয়া
  13. রাওজান
  14. কর্ণফুলী
  15. সীতাকুণ্ড

চট্টগ্রাম জেলার বিখ্যাত খাবারের নাম

চট্টগ্রাম জেলা তার অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত যা সারা বিশ্বের মানুষকে আকৃষ্ট করেছে।এটি কয়লা, গ্যাস, চুনাপাথর এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের জন্যও পরিচিত যা বিভিন্ন শিল্পের বিকাশকে সক্ষম করেছে।কিন্তু এখানকার মানুষও অনেক খাবার প্রিয়।

চট্টগ্রামের বিখ্যাত খাবার সমূহকে চাটগাইয়া রন্ধনশৈলী বলে।চট্টগ্রাম জেলার বিখ্যাত খাবারের নামঃ
  • বেলা বিস্কুট
  • শুটকি
  • মেজবান
  • দুরুস কুড়া
  • কালাভুনা
  • লক্ষিশাক
  • নোনা ইলিশ ইত্যাদি।
Admin

আমি বিখ্যাত বিডি ওয়েবসাইটটির একমাত্র মালিক।আমি ঘুরতে পছন্দ করি এবং মাতৃভাষায় দেশের দর্শনীয় স্থান, বিভিন্ন জেলা এবং বাংলাদেশের সকল মার্কেট নিয়ে লিখালিখি করি। দেশ সম্পর্কে পড়ুন, জানুন, শিখুন, মতামত দিন। সর্বোপরি সাথেই থাকুন।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post